# Class-Four।।Bengali(বাংলা)।।Model Activity task February 2022।।part-2

Songs Lyrics
0
Class-Four।।Bengali(বাংলা)।।Model Activity task February 2022।।part-2 
Activity task,শ্রেণি চতুর্থ,Primary Education,Bangla,part 2,

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
চতুর্থ শ্রেণি
বাংলা
পূর্ণমান-১৫

১.ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ ১x৩=৩ 
১.১ বনের ধারে আছে মস্ত-
(ক) নদী (খ) পাহাড় (গ) মাঠ (ঘ) গর্ত
উত্তরঃ- (খ) পাহাড়

১.২ ছাগলছানার দেখা প্রথম বড়ো জন্তুটি হল-
(ক) ভালুক (খ) বাঘ (গ) সিংহ (ঘ) ষাঁড়
উত্তরঃ- (ঘ) ষাঁড়

১.৩ শিয়াল রাক্ষস ভেবেছে-
(ক) বাঘকে (খ) ছাগলছানাকে (গ) ষাঁড়কে (ঘ) ভালুককে
উত্তরঃ -(খ) ছাগলছানাকে

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ১x৩=৩ 
২.১ ছাগলছানা কোথায় থাকত?
উত্তরঃ- যেখানে মাঠের পাশে বন আছে আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানেই একটা গর্তের ভিতরে ছাগলছানা থাকত।

২.২ গর্তের বাইরে যেতে চাইলে ছাগলছানার মা তাকে কী বলত?
উত্তরঃ- গর্তের বাইরে যেতে চাইলে ছাগলছানার মা তাকে বলত ''যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!'' ।

২.৩ 'তুমি যাও, আমি কাল যাব।'--ছগলছানা কেন একথা বলেছিল?
উত্তরঃ- বনের ভিতরে চমৎকার ঘাস খেয়ে ছাগলছানার পেট এমন ভারী হয়ে পড়েছিল যে, সে আর চলতে পারছিল না। তাই সে প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিল ।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ
২x৩=৬

৩.১ গর্তের ভিতরে কে ও?' - এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা কী বলেছিল?
উত্তরঃ- ''গর্তের ভিতরে কে ও'' -- এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা বলেছিল--
'' লম্বা লম্বা দাড়ি
ঘন ঘন নাড়ি।
সিংহের মামা আমি নরহরি দাস
পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস !''

৩.২ 'শুনেই তো ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছিল।' --- বাঘ ভয় পেয়েছে কেন?

উত্তরঃ- বাঘ শিয়ালকে লেজের সঙ্গে বেঁধে শিয়ালের গর্তের কাছে এলে ছাগলছানা দূর থেকে তাদের দেখতে পায়। তাদের দেখে ছাগলছানা বুদ্ধি করে শিয়ালকে বলে---

''দূর হতবাঘা! তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি
এক বাঘ এলি লেজে দিয়ে দড়ি।''

এই কথা শুনে বাঘ ভয় পেয়ে যায়। কারণ সে ভেবেছিল শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে নরহরি দাসকে খেতে দেওয়ার জন্যই তাকে নিয়ে এসেছে।

৩.৩ বাঘের উপর শিয়ালের রাগ হয়েছিল কেন? 
উত্তরঃ- নরহরি দাসের কথা শুনে ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গিয়েছিল। ফলে সে পঁচিশ হাত লম্বা এক এক লাফ দিয়ে তার লেজে বাধা শিয়ালকে নিয়ে দৌড়োতে থাকে। সেই কারণে শিয়াল মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাঁটার আঁচড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে প্রায় আধমরা হয়ে পড়েছিল। বাঘমামার এই ব্যবহারের ফলে শিয়ালের যায় যায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল বলেই বাঘের উপর শিয়ালের রাগ হয়েছিল।

৪. নীচের প্রশ্নের উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ 
১x৩=৩ 

'নরহরি দাস' গল্পে ছাগলছানার বুদ্ধির পরিচয় কীভাবে ফুটে উঠেছে ?

উত্তরঃ- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এর লেখা ''নরহরি দাস'' গল্পে দেখা যায় বনের ভিতরে বেশি পরিমাণে ঘাস খেয়ে ছাগলছানাটি আর চলতে না পারায় একটি শিয়ালের গর্তে আশ্রয় নেয়। গর্তের ভিতর থেকে শিয়ালকে দেখেও ভয় না পেয়ে নিজেকে সিংহের মামা নরহরি দাস বলে পরিচয় দেয়। কোনো চেনা জন্তুর নাম করলে শিয়াল তাক ধরে ফেলত। তাই সে নরহরি দাসের নাম নিয়ে শিয়ালের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। সেই সঙ্গে সে এক গ্রাসে পঞ্চাশটা খেয়ে ফেলতে পারে বলে শিয়ালের ভয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। এইভাবে বাঘের সামনে সে শিয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলে যে দশ বাঘের কড়ি দিলেও সে মাত্র একটি বাঘ নিয়ে এসেছে। এই কথায় বাঘও ভয় পেয়ে পালায়। এইভাবে ছাগলছানার বুদ্ধির পরিচয় ফুটে উঠেছে গল্পে।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
megagrid/recent