আমাদের পরিবেশ
Part - 2
Class V ( Poribesh )
কেমনভাবে স্টেথোস্কোপ এল ?
সিধু আর তিতির ডাক্তারকাকুর স্টেথোস্কোপটা নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছিল। ওরা স্কুলে যে স্টেথোস্কোপগুলো বানিয়েছে সেগুলোর থেকেও এটা ভালো। ডাক্তারকাকু ওদের বললেন— স্টেথোস্কোপ আবিষ্কারের সঙ্গে একটা মজার গল্প জড়িয়ে আছে। গল্পের কথায় সিধু আর তিতির নড়েচড়ে বসল। কিন্তু একা একা গল্পটা শুনতে ওদের মন খারাপ হলো। বাকি বন্ধুরাও যদি শুনতে পেত গল্পটা তাহলে খুব মজা হতো। সেকথা ডাক্তারকাকুকে বলতেই তিনি একটা উপায় বার করলেন। ঠিক হলো এই শনিবার ডাক্তারকাকু ওদের স্কুলে যাবেন। ক্লাসের সবাইকে শোনাবেন স্টেথোস্কোপ আবিষ্কারের গল্প। শনিবারে ডাক্তারকাকু স্কুলে এলেন। সবার বানানো স্টেথোস্কোপগুলো দেখলেন। খুবই ভালো বললেন। ওনার :স্টেথোস্কোপটাও সবাই দেখল। তারপর ডাক্তারকাকু গল্পটা শুরু করলেন।
আজ থেকে দুশো বছরেরও বেশি আগের কথা। রেনে লিনেক নামে একটি ছোটো ছেলে ছিল। সব জিনিস খুব খুঁটিয়ে দেখার অভ্যাস ছিল তার। বড়ো হয়ে লিনেক ডাক্তার হন। সবসময় ডাক্তারির নানা বিষয় নিয়ে ভাবতেন তিনি। একসময় ফুসফুস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতেন তিনি। তেমন একসময় একদিন বিকেলবেলা বাগানে পায়চারি করছেন লিনেক। হঠাৎ দেখলেন দুটি ছোটো ছেলে একটা মজার খেলা খেলছে। একটা ধাতুর নলে একদিকে একটা ধাতুর জিনিস দিয়ে আঁচড় কাটছে একজন। অন্যজন সেই ধাতুর নলটার অন্যদিকে কান লাগিয়ে সেই আঁচড়ের আওয়াজ শুনছে। এভাবে দুজনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই খেলাটা খেলতে লাগলু। একমনে ওদের খেলা দেখছিলেন লিনেক। হঠাৎ তাঁর মাথায় একটা ভাবনা
দৌড়ে নিজের ঘরে ফিরে এলেন তিনি। টেবিলের ওপর পড়েছিল লম্বা একটুকরো মোটা কাগজ। কাগজটাকে গোল করে পেচালেন লিনেক। তা দিয়ে লম্বা, সরু একটা নল বানালেন। জুড়লেন আঠা দিয়ে। এভাবেই তৈরি হল প্রথম স্টেথোস্কোপ। তবে কাগঞ্জের নল সহজে নষ্ট হয়ে যায়। আবার কাগজের ভিতর দিয়ে বুকের ধুকপুক শব্দ পুরোটা ভালো করে শোনাও যায় না। এবার ছুতোর ডাকলেন লিনেক। নিজের আঁকা স্টেথোস্কোপের নকশা ধরিয়ে দিলেন তার হাতে। ছুতোর ফাঁপা, সরু কয়েকটা কাঠের নল বানিয়ে দিল। সেই একনলা স্টেথোস্কোপই ছিল আদি স্টেথোস্কোপ। তারপর আস্তে আস্তে তার চেহারা বদলাতে থাকে। এক সময় সেটা এসে দাঁড়াল আজকের স্টেথোস্কোপের চেহারায়।
মাটির তলার মাটি
অজিতদের বাড়িতে টিউবওয়েল বসাচ্ছেন রতনকাকুরা। প্রথমে খানিকটা খুঁড়ে নিল। তারপর মাটিতে পাইপ বসানো শুরু হলো। একটু পরেই অজিত দেখল পাইপের মুখ থেকে জল আর মাটি উঠছে। কাঁকর মাটি। বালি মাটি। মিহি মাটি।
ক্লাসে সেদিন মাটি নিয়ে কথা হচ্ছিল। অজিত কল বসানোর সময় দেখা মাটির কথা বলল। স্যার বললেন- বল বসানোর মিতা বলল- উপরের মাটি আর তলার মাটি কি আলাদা হয়?
এই মাটিতে ভারি ও হালকা নানা কিছু আছে। ভারি গুলো নীচে থিতিয়ে পড়বে ও হালকাগুলো ওপরে ভেসে উঠবে। জলে মাটি গুলে থিতিয়ে সব দেখা হলো। তারপর অর্জিত বলল— উপরের মাটি গুলে দেখলেও এইরকম দেখা যাবে। অনেকটা একইরকম হবে। উপরের শুকনো মাটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখো।
রাবেয়া বলল- একইরকম হবে কেন? উপরের মাটিও কী এইরকম?
— মোটামুটি একইরকম হবে।
-কিছুটা আলাদা তো হবেই। ওপরের মাটি মিষ্টি। যত নীচের মাটি তার কাকা ও নুড়ি বেশি। গ্লাসে জল নাও। মাঠ থেকে খানিকটা মাটি নিয়ে এসো। সেটা গ্লাসের জলে গুলে থিতিয়ে নাও। বুঝতে পারবে। অজিত আগেই প্রশ্ন করল— কী দেখা যাবে স্যার?
মাটি দিয়ে পাকা বাড়ি!
সবাই মন দিয়ে মাটি দেখল। একটু করে শুকনো গুঁড়ো মাটি নিয়ে এল। কী দেখেছে তা লিখেও আনল। কিন্তু সবার দেখা একরকম হলো না। সমীরের আনা মাটি দেখে স্যার বললেন— এত শক্ত মাটি এমন মিহি করে গুঁড়ো করলে কীভাবে?
— মুগুর দিয়ে ভেঙেছি। তারপর হামানদিস্তা নিয়ে গুঁড়ো করেছি। ময়দার মতো হয়ে গেছে। আলাদা আলাদা কণা বোঝাই যাচ্ছে না। -এই হলো বাদার কথা। কথাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে একটু জল আর বাতাস থাকে। জল
শুকোলে কণাগুলো গায়ে গায়ে লেগে শক্ত হয়ে যায়। ভাঙা খুব কঠিন। গুঁড়ো করেজল দিলেই আঠার মতো, যেন সিমেন্ট। হরিশ বলল- তাহলে লোকে আর সিমেন্ট কিনবে না। এই মাটি দিয়েই পাকা বাড়ি গাঁথবে।
-আগে তাই করত। ওইরকম কাদায় মিহি বালি মিশিয়ে তাই দিয়ে ইট পাঁখত।
– এখনও তেমন বাড়ি আছে? - অনেক বাড়ির একতলাই ওভাবে গাঁথা। তখন সিমেন্ট তেমন পাওয়া
হরিশ বলল- সিমেন্ট পাওয়া যেত না? সে কত বছর আগের — সিমেন্ট প্রথম হয়েছে প্রায় দুশো বছর আগে। এদেশে তৈরি শুরু হয়েছে
প্রায় একশো কুড়ি বছর আগে। আর বেশি ব্যবহার হচ্ছে সত্তর-আশি বছর
হলো। তারপর একটু থেমে বললেন- এটা এঁটেল মাটি। এতে জল দিলে ঠিক কী হয় দেখতে হবে। রাবেয়া নিজের আনা মাটির কিছু কথা দেখিয়ে বলল- মাটির এই কণাগুলো বেশ বড়ো বড়ো। খালি চোখেই বোঝা যাচ্ছে। - এগুলো বালির কণা। কামার কণার চেয়ে বড়ো। এই মাটিকে বলে বেলে মাটি। এতেও আমরা জল নিয়ে দেখব। ‘মিনতি উঠে দাঁড়িয়ে বলল- স্যার, আমার আনা মাটির খানিকটা জলে গুললাম। ভালো করে থিতাল না। জ্যটা খোলাই হয়ে গেল।
-মাটি দেখে স্যার বললেন- এটা দোঁয়াশ মাটি। বালি আর কাদা প্রায় সমান সমান। কিছুটা-ফৈর পদার্থ আর মাটির -নানা অস্বাভাবিক উপাদানও এতে আছে।
- গোবর, মাছের কাঁটা, পচাপাতার কুচি, এগুলো তো জৈব পদার্থ। মাটির অস্বাভাবিক উপাদান কী?
এই দেখ্যে। পলিথিনের কুচি। অ্যালুমিনিয়ামের কুচি।
পেনের হিফিলের টুকরো পেনসিলের শিস। স্যার আশ
কাচ দিয়ে মিনতিকে এইসব দেখালেন। তারপর বললেন- এর কিছু জলে ডোবে।
আবার কিছুটা ভাসে বা আধ-ডোবা হয়ে থাকে। জৈব পদার্থও তাই। সেজন্য জলে এই নাটি গুললে থিতানো মুশকিল।
Class V ENVS Sample Questions Pattern
Subject –
Environmental Study (বিষয় – পরিবেশ)
First
Summative Evaluation
============================
==============================
Set-3
===============================
১) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ ১ x ৩ =৩
(ক) নীচের কোনটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী?
(i) সাপ
(ii) টিকটিকি
(iii) চিংড়ি
(iv) গোরু
(খ) খাবার লুকিয়ে রাখে কোন পাখিটি-
(i) বক
(ii) কাক
(iii) টিয়া
(iv) কাকাতুয়া
(গ) গন্ডারের খড়্গ তৈরি হয়-
(i) হাড়
দিয়ে
(ii)
পেশি দিয়ে
(iii)
চুল দিয়ে
(iv) নখ
দিয়ে
২) একটি বাক্যে উত্তর লেখোঃ ১
x ৩ =৩
(ক) ত্বকে রোদ লাগলে কোন ভিটামিন তৈরি হয়?
(খ)
কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত হাড়টির নাম কী?
(গ)
কোন যন্ত্র দিয়ে হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক শব্দ শোনা যায়?
৩) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর
দাওঃ ১ x ৩ =৩
(ক) কোন মাটিতে কাদার ভাগ বেশি? দোআঁশ মাটিতে
বালি, কাদা ছাড়াও আর কী উপাদান মিশে থাকে?
(খ) কী
করে বোঝা যায় ফুসফুসে যক্ষ্মা হয়েছে? কোন চিকিৎসায় এটি সারে?
(গ) ORS কীভাবে তৈরি করা হয়?
Class – V ( পঞ্চম - শ্রেণী )
Subject – Environmental Study (বিষয় – পরিবেশ)
First Summative Evaluation
==========================
Set-4
==============================
১) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ
১ x ২
=২
(ক) কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত
হাড়টির নাম-
(i) ফিমার
(ii) কশেরুকা
(iii) হিউমেরাস
(iv) রেডিয়াস
(খ) কোন রোগের জন্য DOT চিকিৎসা
করা হয়?
(i) কলেরা
(ii) টাইফয়েড
(iii) যক্ষ্মা
(iv) ডায়ারিয়া
২) শূণ্যস্থান পূরণ করোঃ ১ x ২ =২
(ক)
_________________ মাটিতে কাদা ও বালির পরিমাণ
সমান সমান।
(খ) সাঁতরাগাছি ঝিল
_______________ জেলায় অবস্থিত।
১) একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ১x ২ =২
(ক) একটি শিকারি পাখির নাম
লেখো।
(খ) কম্পোস্ট কী?
১) দু-একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ২ x ২ =৪
(ক) হৃৎপিণ্ড কী? শরীরে রক্তের
কাজ কী?
(খ) কলেরা রোগ কীসের দ্বারা
ছড়ায়? এই রোগের দুটি লক্ষণ উল্লেখ করো।
(গ) আকর্ষ দেখা যায় এমন একটি
গাছের নাম লেখো। এর কাজ কী?
Sample Questions Download in PDF Format
Content |
Description |
File
Name |
Class
V Sample Questions Paper |
Subject |
ENVS
( পরিবেশবিদ্যা ) |
File
Format |
PDF |
|
আরও দেখুন 👇👇