আমাদের পরিবেশ
Part - 1
Class V ( Poribesh )
পেশি নিয়ে কিছু কথা
শুভ্রকে কাকা পাঞ্জা লড়তে শেখাচ্ছিলেন। শুভ্র কাকার হাত চেপে ধরে অবাক। ইটের মতো শক্ত শুভ্র বলল- তোমার হাত এত শক্ত হলো কী করে?
- পেশির জন্য। কাজ করায় হাড়কে সাহায্য করে। পেশি হাড়ের এক জায়গায় শুরু। আর এক জায়গায় শেষ। এমনিতে নরম। টানটান করলেই শক্ত হয়ে যাবে।
কিছু টানতে গেলে পেশির জোর চাই।
কী করে পেশি জোরালো হবে?
· মাছ-মাংস, ডিম, মাশরুম, ডাল, সয়াবিন, লেবু খাবে। একটু ব্যায়াম করবে। মাঝেমধ্যে হাতটা টানটান করবে, তারপর ছেড়ে দেবে। পেশি লম্বায় বাড়বে।
স্কুলে এসব কথা বলল শুভ্র। স্যার বললেন— হাতে অনেক পেশি আছে। লিখতে গেলে অনেক পেশির সাহায্য লাগে। ক্রিকেট খেলায় বল করতে আবার অন্যরকম। দেখার
জন্য, পড়ার জন্য চোখের পেশি কাজ করে।
অজন্তা বলল – অন্য প্রাণীদেরও দেহে পেশি আছে?
— নিশ্চয়ই। বাঘের মুখের পেশির জোর খুব। পাখিদের ডানার পেশি খুব শক্তপোক্ত। কেঁচোর দেহের বেশিরভাগটাই শুধু পেশি।
-আমাদের হাড় না থাকলে কী হতো? চলাফেরা কেঁচোর মতো হয়ে যেত। — তা বটে। আমাদের চোখে হাড় নেই। এর সঙ্গে লাগানো পেশিগুলো একে নড়াচড়া করা। জিভও একটা পেশি। একাই অনেক কাজ করে। কোনো খাবার চেটে নিতে পারে। মুখের ভিতর চিবানোর সময় খাবারকে ওলোট-পালোট করে নিতে পারে। আবার গিলতেও জিভের সাহায্য লাগে। আর জিভ না থাকলে কথা বলা যায় না। আবার কানের লতিতেও পেশি। তবে সে কোনো কাজই করতে পারে না।
স্টেথোস্কোপে শোনা
ডাক্তারবাবুরা বুকে স্টেথোস্কোপ দিয়ে দেখেন। সিধু ভাবল, অমন একটা জিনিস বানানো যায়? স্টেথোস্কোপের যে দিকটা বুকে ঠেকায় সেটা ছোটো ফানেলের মতো। ও একটা ফার্নেল আর রবারের নল দিয়ে স্টেথোস্কোপ বানাবার চেষ্টা করল।
ছোটোবোনের বুকে নলটা ঠেকিয়ে সিধু ফানেল কানে দিল। তারপর অবাক হয়ে শুনল। বুকে এত শব্দ হয়?
ভালো করে দেখার আগেই বোনকে মা ডাকলেন। বোন এক ছুটে চলে গেল। আবার একটু পরে ফিরে এল।
দৌড়ে গেলে আর দৌড়ে ফিরলে হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক শব্দটা বেড়ে যায়। আশা বলল- হৃৎপিণ্ড কী?
-শরীরে রক্ত ছড়িয়ে দেওয়ার পাম্প। সারা শরীরে রক্ত যাওয়ার জন্য ছড়িয়ে ‘আছে ধর্মনি। পাম্প করে ওই নল দিয়ে রক্ত পাঠায় বুকের ভিতরের একটা অংশ। তার নাম হৃৎপিণ্ড।
রবিলাল বলল- সারা শরীরে রক্ত যাওয়ার দরকার কী? – সারা শরীরে অক্সিজেন ও শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি
সিধু আবার এভাবে শুনল। এবার মনে হল শব্দটা বদলে গেছে। পরেরদিন স্কুলে সবাইকে ও সেকথা বলল। দিদিমণি শুনে বললেন— ঠিকই শুনেছ।
পৌঁছে দেয় রক্ত। আবার ধরো, তোমার নাকে ফোঁড়া হয়েছে। সেখানে ফোঁড়ার অনেক জীবাণু। রক্তেও কিছু জীবাণু মিশেছে। কিন্তু তুমি ওষুধ খেয়েছ। ওষুধটা ফোঁড়ার জীবাণু মারতে পারবে। কিন্তু ফোঁড়ার কাছে ওষুধটা যাবে কীভাবে?
বাতাসে ওড়ে জীবাণু
রাস্তায় খুব বুলো। কাল থেকে অনন্তকাকুর জ্বর। এবারে ধুলোর জন্য তাঁর হাঁচি শুরু হলো। কাকু ব্যস্ত হয়ে মুখে কুমাল চাপা দিলেন। নইলে ওঁর মুখ থেকে বাতাসে | ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অন্য কোনো অসুখের জীবাণু চলে যাবে।
সুভায় ক্লাসে এসে একথা বলল। শেষে জানতে চাইল বাতাসে আর কোন কোন রোগের জীবাণু থাকে।
দিদিমণি বললেন— অনেক রকম রোগের জীবাণু থাকে। তবে যক্ষ্মা বা টিবি রোগের জীবাণু খুব মারাত্মক। ফুসফুস দিয়ে আমরা শ্বাস নিই আর ছাড়ি। ফুসফুসেই যক্ষ্মা রোগ বেশি হয়। অন্য কয়েকটি অঙ্গেও হয়।
সুভাষ বলল— কী করে বোঝা যায় যে ফুসফুসে যক্ষ্মা হয়েছে?
— প্রথম প্রথম বিকেলে জ্বর হয়। রাতে ঘাম, শ্বাসকষ্ট হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর টানা কয় উঠতে থাকে। তারপর খাওয়ায় অরুচি, বুকে ব্যথা হয়। অসুখ একটু বাড়লে কাশির সঙ্গে কাঁচা রক্ত ওঠে। ক্রমশ ওজন কমতে থাকে। ওই কফ, হাঁচিতে রোগ ছড়ায়?
-হাঁচি। থুথু থেকেও ছড়ায়। সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেও ছড়ায়। তবে মনে রেখো যক্ষ্মা বংশগত রোগ নয়।
-এই রোগ কতদিনে সারে?
- বছরখানেক হাসপাতালে DOT চিকিৎসা করাতে হয়। তাহলে এখন পুরো সেরে যায়। যাট-সত্তর বছর আগেও এর ‘ভালো চিকিৎসা ছিল না। যারা পারত তারা ভালো খাবার খেত। যেখানে বাতাসে দুষণ কম সেখানে বিশ্রাম নিত। তাতেও ঠিক সারত না। তবে মাঝপথে ওষুধ খাওয়া থামিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তাতে যক্ষ্মা আরো মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
সেবা বলল— করে থেকে মানুষের এই রোগ হচ্ছে? -সাত-আট হাজার বছর আগের মানুষের কঙ্কালেও এই রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে।
রুনা বলল— তখন থেকেই যক্ষ্মার জীবাণুর কথা জানা ছিল?
-রোগটার কথা জানা ছিল। জীবাণু আবিষ্কৃত হয় প্রায় একশ্যে ত্রিশ বছর আগে। - তাহলে চিকিৎসা ষাট-সত্তর বছর আগে শুরু হলো কেন?
-কী দিয়ে একটা জীবাণু মারা যাবে তা জানা কি সহজ। কত পরীক্ষা করতে হয়। তাঁর কী ফল হলো সেটা দেখতে হয়।
জলের সঙ্গে জীবাণু
তীর্ঘর খুব চিন্তা হলো। বাতাস থেকে যক্ষ্মার জীবাণু ওর শরীরে ঢুকে যায় যদি! একবছর ধরে ওষুধ খেতে হবে। তৃপ্তিমাসি নার্স। পাশের বাড়িতে থাকেন। একদিন মাসিকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করল। মাসি বললেন— জীবাণু সবার শরীরেই কমবেশি আছে। আবার শরীরের মধ্যেই তা প্রতিরোধের ব্যবস্থাও আছে।
-তাহলে লোকের যক্ষ্মা হয় কেন?
অনেকে ধুলো-ধোঁয়া ভরা বাতাসে থাকেন। খুব পরিশ্রমও করেন। ঠিক মতো খান না।
ফলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিকমতো গড়ে ওঠে না। -আমার শরীরে প্রতিরোধের ব্যবস্থা ঠিকমতো হয়েছে?
হয়েছে, তোমায় বিসিজি টিকা দেওয়া আছে। আমি নিজে টিকা
দিয়েছি। এমন সময়ে স্বপ্নার মা এসে বললেন- মেয়ে কাল রাত থেকে বমি। আর পায়খানা করছে। একেবারে ঘোলা জলের মতো। তৃপ্তিমাসি বললেন— নুন-চিনির জল বারবার খাওয়ান। ওর শরীরে নুন আর জল কমে যাচ্ছে। আগে সেটা পুরণ করুন। জলটা কুড়ি “মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এক গ্লাস ফোটানো জলে এক চামচ চিনি আর এক চিমটে নুন দেবেন। এটাই বাড়িতে তৈরি ও আব্বাস (ORS)। মাঝেমাঝে কয়েক চামচ করে খাইয়ে দেবেন। দুষিত জল পান করায় ওর এই বিপত্তি! তবে আঢাকা .. খাবার বা পানীয় খেলেও এমন বমি পায়খানা হতে পারে। স্বপ্নার মা বললেন- দিদি, কলেরা নয়তো?
→ পাতলা পায়খানা তো কত কারণেই হয়। কলেরায় পায়খানা হয় চাল ধোয়া জলের মতো। একটু আঁশটে গন্ধ থাকে। কাছে যাওয়া যায় না। ওষুধ না পড়লে বালতি বালতি বমি-পায়খানা হয়। এসব কিছু দেখলে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে -বেন।
Class V ENVS Sample Questions Pattern
====================================
Set-1
=====================================
Class – V ( পঞ্চম - শ্রেণী )
Subject – Environmental Study (বিষয় – পরিবেশ)
First
Summative Evaluation
==================================================
১)
শূন্যস্থান পূরন করোঃ ১
x ৩ =৩
(ক) গন্ডারের খড়গ আসলে _____________
(খ) মাটির একটি সজীব উপাদান হল _______________
(গ) কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত হাড়ের নাম ______________ ।
২)
সঠিক উত্তর নির্বাচন করো ১ x ৩ =৩
(ক) DOT এর চিকিৎসা
করা হয় –
(১) যক্ষা রোগে
(২) কলেরা রোগে
(৩) টাইফয়েড রোগে
(৪) ক্যান্সার
(খ) ত্বকে রোদ লাগলে তৈরী হয় –
(১) ভিটামিন A
(২) ভিটামিন C
( ৩) ভিটামিন – D
(
৪) ভিটামিন- E
(গ) এঁটেল মাটিতে যার ভাগ বেশি থাকে –
(১) বালি
(২) কাদা
(৩) বালি ও কাদা সমান
(৪) পাথর
৩) এক কথায় উত্তর দাওঃ (যেকোন চারটি ) ১ x ৪ =৪
(ক)
ORS কিভাবে তৈরী করা হয় ?
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
(খ) মাটির দুটি অস্বাভাবিক উপাদানের নাম লেখো
।
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
(গ) বাঁওড় কী ?
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
(ঘ) মাটিতে প্লাস্টিক থাকলে গাছের শিকড়ের কী
সমস্যা হয় >
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
(ঙ) অস্থিসন্ধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
(চ) রক্তের কাজ কী ?
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
(ছ) কোন রঞ্জক পদার্থ থাকার জন্য চামড়ার রঙ কালো
হয় ?
উত্তরঃ……………………………………………………………………………………………………
=======================================================
SET -2
=======================================================
Class – V ( পঞ্চম
- শ্রেণী )
Subject –
Environmental Study (বিষয় – পরিবেশ)
First Summative
Evaluation
=============================================
(ক) সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ ১
x ৪ =৪
(ক) কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত
বড় হাড়কেটির নাম হল- ( ফিমার / হিউমেরাস / ভার্টিব্রা )
(খ) সারা শরীরে রক্ত ছড়িয়ে
দেয় - ( ফুসফুস / যকৃত / হৃদপিন্ড )
(গ) ( ১৯১৮ সালে / ১৯২৯ সালে
/ ১৮৭২ সালে ) কলকাতায় বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ শুরু হয় ।
(ঘ) একটি অমেরুদন্ডী প্রানী
হল – ( রুই / ট্যাংরা / চিংড়ি )
(২) বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডানস্তম্ভ মিলিয়ে লেখো ১ x ৪ =৪
বামস্তম্ভ |
ডানস্তম্ভ |
||
(ক) |
পটাশিয়াম
পারম্যাঙ্গানেট |
(১) |
ভিটামিন
-D |
(খ) |
ভামবেড়াল |
(২) |
কোচবিহার
|
(গ) |
রসিকবিল
|
(৩) |
জলশোধন
|
(ঘ) |
রোদ
|
(৪) |
গন্ধগোকল
|
|
|
|
|
(৩)
একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ ( যে কোন দুটি
) ১ x ২ =২
(ক) বাঁওড় ও ঝোরা কী ?
উত্তরঃ………………………………………………………………………
(খ) শিকারী পাখি কাকে বলে ? উদাহরন দাও
উত্তরঃ…………………………………………………………………………………
(গ) গৌড় কী ? এটি কোথায় দেখা যায় ?
উত্তরঃ……………………………………………………………………
(ঘ) মেলানিন কী ? এটি কিভাবে ক্যান্সার আটকায় ?
উত্তরঃ…………………………………………………………………………………
Content |
Description |
File Name |
Class V Sample
Questions Paper |
Subject |
ENVS ( পরিবেশবিদ্যা ) |
File Format |
PDF |
|
|