# কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।

Songs Lyrics
0

কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।

অথবা

চুনাপাথর অঞ্চলে ভৌমজলের কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের বর্ণনা দাও।

অথবা

কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের বর্ণনা দাও।


উত্তর:-

  • কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ

দ্রবণ প্রক্রিয়ায় কার্স্ট অঞ্চলে যেসব ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় তাদের অবস্থান ও প্রকৃতি অনুযায়ী 4টি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়—

1. পৃষ্ঠীয় ভূমিরূপ

(i) ল্যাপিস বা কারেন : অধিক ঢালযুক্ত চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে দ্রবণ কার্যের ফলে শিলাপৃষ্ঠে অসংখ্য অগভীর রৈখিক খাতের সৃষ্টি হয়। পরস্পর সমান্তরালে বিন্যস্ত খাতগুলি তীক্ষ্ণ শীর্ষদেশ দ্বারা বিভক্ত হয়ে যে খাতবিশিষ্ট ভূমিরূপ গঠিত হয়, ফরাসি ভাষায় তাকে ল্যাপিস এবং জার্মান ভাষায় কারেন বলে।

কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।
(ii) টেরারোসা: কার্বন ডাইঅক্সাইড যুক্ত জল বিশুদ্ধ চুনাপাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে দ্রবণ প্রক্রিয়ায় চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়ে অপসারিত হয়। কিন্তু অদ্রাব্য লৌহযৌগ সঞ্চিত হয়ে লাল কদমযুক্ত যে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়, তাকে টেরারোসা বলে। টেরারোসা ("Terra' শব্দের অর্থ মৃত্তিকা এবং 'Rossa' শব্দের অর্থ লাল) এক দু মিটার থেকে কয়েক মিটার পর্যন্ত পুরু হতে পারে।
(iii) গ্রাইক ও ক্লিন্টস: প্ররণ কার্যের ফলে চুনাপাথরে পারণ বা সন্ধিস্থল বরাব্বা গভীর রৈখিক ও দীর্ঘ গর্ত সৃষ্টি হলে তাকে গ্রাহক বলে। গ্রাইক জালিকার মতো পরস্পরের সমকোণে বিস্তৃত হয়। গ্রাহকের মধ্যবর্তী প্রায় সমতল পৃষ্ঠবিশিষ্ট আয়তাকার উঁচু শিলাখণ্ডতে ক্লিন্টস বলে। বড়ো আকারের গ্রাইককে রোগাজ বলে। মধ্যপ্রদেশের নন্দিনী খনি অঞ্চলে গ্রাইক ও ক্লিন্টস দেখা যায়।
কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।


2. অবনমিত ভূমিরূপ

(1) সোয়ালো হোল: কার্স্ট অঞ্চলে দ্রবণ প্রক্রিয়ায় অসংখ্য ছোটো ছোটো গর্ভের সৃষ্টি হয়। এর মধ্য দিয়ে জল সহজেই সিংক হোলে প্রবেশ করে। এই ধরনের উন্মুক্ত গহ্বর মুখকে সোয়ালো হোল বলে।

কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।

(ii) পোনর:সোয়ালো হোল থেকে ভূ-অভ্যন্তরে বিস্তৃত সুড়াপথটি পোনর বলে পরিচিত।

(ii) সিংক হোল : কার্স্ট অঞ্চলে প্রবণ কার্যের ফলে যে ফাঁদল আকৃতির অবনমিত ভূভাগ সৃষ্টি হয়, তাকে সিংক হোল বলে। এই অঞ্চলে একাধিক সিংক হোল প্রসারিত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যৌগিক সিংক হোল সৃষ্টি হয়।

(iv) ডোলাইন: একাধিক সিংক হোল পরস্পর জুড়ে যখন অপেক্ষাকৃত বড়ো আকৃতির গর্ভ বা অবনমিত ভূভাগ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে ডোলাইন বলে। উৎপত্তি অনুসারে ডোলাইনকে 5 ভাগে ভাগ করা যায়- 1)দ্রবণ ডোলাইন, 2)ধস ডোলাইন, 3)দ্রবণ-পাইপ ডোলাইন, 4) অবনমিত ডোলাইন এবং 5) ককপিট ডোলাইন। অন্ধ্রপ্রদেশের বোরাগুহালু স্টেশনের বিপরীত পাশে ফানেলের আকারে সৃষ্ট গর্ভটি একটি আদর্শ ডোলাইন।

কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।


(v) দ্রবণ প্যান: প্রবণ প্যান হল ডোলাইনের পরিবর্তিত রূপ। এটি ডোলাইনের তুলনায় অগভীর কিন্তু অধিক বিস্তৃত।

(vi) কার্স্ট হ্রদ : চারদিক থেকে ধুয়ে আনা অতি সূক্ষ্ম কদমকণা ডোলাইনে সম্ভিত হয়ে ডোলাইনের তলদেশের ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ডোলাইনে জল সঞ্চিত হয়ে যে হ্রদ সৃষ্টি হয়, তাকে কার্স্ট হ্রদ বলে। এই ধরনের হ্রদগুলি সবসময় আঞ্চলিক ভৌমজলতলের ওপরে অবস্থান করে।

(vii) উভালা ও পোলজি :একাধিক সিংক হোল বা ডোলাইন পরস্পর মিলিত হয়ে যে বৃহদাকৃতির গর্ত সৃষ্টি হয় তাকে উদ্ভালা বলে। উদ্ভালা অপেক্ষা বড়ো উপবৃত্তাকার অবনত ভূভাগকে পোলজি বলে। পোলজির তলদেশ সমতল প্রকৃতির। এগুলি খাড়া ঢাল দ্বারা আবদ্ধ।


3. নদী দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ

(i) অন্ধ ও শুষ্ক উপত্যকা: কার্স্ট অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী সিংক হোলের মধ্যে

অঞ্চলের এইরূপ উপত্যকাকে অন্ধ উপত্যকা বলে। পূর্বেকার নদী উপত্যকার কোনো অংশে নদীর সব জল সিংক হোলের মধ্যে প্রবেশ করলে সিংক হোলের পরে নদী-উপত্যকার অংশ শুষ্ক উপত্যকা রূপে অবস্থান করে।

কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।

(ii) প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ ও প্রাকৃতিক সেতু : কার্স্ট অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে দ্রবণ কার্যের মাধ্যমে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গপথ সৃষ্টি হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী অন্তর্নিত হলে সুরঙ্গপথটি সৃষ্টি করে। এর মধ্য দিয়ে প্রবাহি নদী অন্তর্হিত হলে সুরঙ্গপথটি প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গরূপে অবস্থান করে। এই সুড়দ্গপথের কিছু অংশ ধসে পড়লে সুশটি সেতুর আকারে অবস্থান করে একে প্রাকৃতিক সেতু বলে।

(iIi) কার্স্ট বাতায়ন : চুনাপাথর অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ নদী সুড়ঙ্গপথের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। সুড়ঙ্গের ছাদ যে অংশে ধসে পড়ে সেখানে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূগর্ভস্থ নদীকে দেখা যায়। জানালার মতো এরূপ অংশকে কাস্ট বাতায়ন বলে। বোরাগুহার ওপর থেকে গোস্সানী নদীর প্রবাহকে দেখা যায়। এটি কার্স্ট বাতায়নের উদাহরণ।


4. ভূপৃষ্ঠে গঠিত ভূমিরূপ 

(i) ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুহা ও ভূগহ্বর: ভূ-অভ্যন্তরের স্বাভাবিক শূন্যস্থানকে গুহা বলে। কার্স্ট অঞ্চলে দ্রবণীয় শিলাস্তরের ফাটল ও সন্ধিস্থল দিয়ে অ্যাসিড মিশ্রিত জল ভূগর্ভে প্রবেশ করলে ভূ-অভ্যন্তরে গুহার সৃষ্টি হয়। এই গুহা আয়তনে বড়ো হলে তাকে ভূগহ্বর বলে। গুহা অনুভূমিক বা উল্লম্বভাবে বিস্তৃত হতে পারে। গুহা উল্লম্বভাবে বিস্তৃত হলে গুহা বহুতলবিশিষ্ট হয়। এইরূপ গুহাকে গ্যালারি গুহা বলে।

(ii) সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ: গুহা অভ্যন্তরে সাধারণত তিন ধরনের সঞ্চয় বা অবক্ষেপ লক্ষ করা যায়। এগুলি হল—পাতন প্রস্তর, প্রবাহ প্রস্তর এবং প্রান্ত প্রস্তর। প্রবহমান জলের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপকে প্রবাহ প্রস্তর এবং জলপ্রবাহের ফলে গুহাপ্রান্তে যে ভূমিরূপ গঠিত হয়, তাকে প্রান্ত প্রস্তর বলে। গুহার ছাদ থেকে জলের সঙ্গে দ্রবীভূত চুনাপাথর ফোঁটা ফোঁটা রূপে পড়ে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে পাতন প্রস্তর বলে। পাতন প্রস্তর প্রধানত চারপ্রকার—

  • স্ট্যালাকটাইট: গুহার ছাদ থেকে দ্রবীভূত চুনাপাথরমিশ্রিত জল ফোঁটার আকারে মেঝেতে পড়ার আগেই জল বাষ্পীভূত হয় ও ক্যালশিয়াম দণ্ড হিসেবে ঝুলতে থাকলে, তাকে স্ট্যালাকটাইট বলে।
  • স্ট্যালাগমাইট: গুহার ছাদ থেকে দ্রবীভূত চুনাপাথর মিশ্রিত জল গুহার মেঝেতে ফোঁটা ফোঁটারূপে সঞ্চিত হয়ে ক্রমশ স্তম্ভের আকারে ওপরের দিকে বাড়তে থাকে, একে স্ট্যালাগমাইট বলে।
  • স্তম্ভ: স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইট বর্ধিত হয়ে উভয়ে সংযুক্ত হলে স্তম্ভের সৃষ্টি হয়। এরূপ স্তম্ভ গুহার ছাদকে ধসের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • হেলিকটাইট: চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে গুহার ছাদে নানা আকৃতির ভূমিরূপ গঠিত হয়। যেগুলি তির্যক বা বক্রাকাবে বৃদ্ধি পায়, একে হেলিকাইট বলে।
কার্স্ট অঞ্চলের বিভিন্ন ভূমিরূপ কীভাবে সৃষ্টি হয় তার সচিত্র ব্যাখ্যা দাও।


......যদি কোনো ভুল থেকে থাকে তা Typing mistake এর জন্য। আমাদের কমেন্ট করে জনান আমরা সংশোধন করার চেষ্টা করবো। .........



বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভূগোল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও আবশ্যিক বিষয়। তাই এই কথা মাথায় রেখে সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা WB Primary Education Solution Portal- এর সাহায্যে সংস্কৃত সহ অন্যান্য বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।

hs Geography suggestion 2022,class 12 Geography suggestion 2022 pdf download,2021 hs exam Geography suggestion,hs Geography grammar suggestion 2021,hs suggestion 2022 pdf free download,class 12 Geography suggestion 2022,hs Geography suggestion 2021 pdf download,class 12 Geography suggestion 2021

HS Geography Suggestions 2022 WBCHSE all, HS Geography Suggestions 2022 answers, HS Geography Suggestions 2022 class 12, HS Geography Suggestions 2022 download, HS Geography Suggestions 2022 free download, HS Geography Suggestions 2022 in Geography, HS Geography Suggestions 2022 in Geography, HS Geography Suggestions 2022 in west bengal, HS Geography Suggestions 2022 key answer, HS Geography Suggestions 2022 ncert solutions, HS Geography Suggestions 2022 objective, HS Geography Suggestions 2022 pdf, HS Geography Suggestions 2022 pdf download, HS Geography Suggestions 2022 question, HS Geography  Suggestions 2022 questions and answers, HS Geography Suggestions 2022 wbcHSe, HS Geography Suggestions 2022 west bengal, HS Geography Suggestions 2022 west bengal board

 HS Geography Suggestions 2022

HS Geography Suggestions 2022 (উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2022 (২০২২)এই HS Geography Suggestions 2022 (উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 2022 (২০২২)Answer গুলি আগামী West Bengal Higher Secondary Geography Examination 2022 – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল 2022 সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর ভূগোল  2022 পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেনতারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।   

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
megagrid/recent