# Model Questions Set Class V || Amader poribesh || আমাদের পরিবেশ মডেল প্রশ্ন।। Set 11

Songs Lyrics
0

আমাদের পরিবেশ 

Part - V

Class V ( Poribesh )

ঘরের বাহিরে তাকিয়ে দেখা


দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

শান-পুকুরের ঘাট। সুবোধ আগেও এসে বসেছে। কিন্তু এমন করে পুকুরটা দেখেনি। ঘাটটা পূর্বদিকে। পাড়গুলো উঁচু করে বাঁধানো। সুবোধ এবার পাড় ধরে দক্ষিণ দিকে হাঁটতে লাগল। চারপাশ ঘুরে আসতে কত-পা হয়। গুনে নেবে।

একটু এগিয়ে সুবোধ দেখল, পাড়ের পাশে কত রকম ঘাস, ঝোপ, ফুল। জলের মধ্যেও গাছ। শালুক ফুল, ছোটো ছোট্টো পানা। জলের খুব কাছে লতার মতো গাছ। খাঁজকাটা পাতা। ঠাকুমা মাঝে মাঝে এইরকম আনে। বলে ঢেঁকি শাক।

সুবোধ কখনও পাড়ের গাছপালা দেখতে দাঁড়াচ্ছে। তখনই লিখে রাখছে কত পা হল। পাড়ে তালগাছ। খানিক যাওয়ার পর বাঁশঝাড়। কোথাও পাড় ভেঙে জল ঢোকার নালা হয়েছে। মাঠ থেকে বর্ষায় জল ঢোকে। আর একটু এগিয়ে কলার ঝাড়। একটায় কাঁদি ধরেছে। একটার মোচা বেরিয়েছে।

তারপর নিলুদার ঘর। নিলুদা পুকুরের মাছ, পাড়ের গাছপালা আর পাশের আম-কাঁঠালের বাগান পাহারা দেয়। সুবোধ আবার পা গুনে গুনে হাঁটতে শুরু করল।

পরদিন স্কুলে এসে সুবোধ বলল—স্যার, আমরা কোনোদিন কোনো জলাশয়ের মানচিত্র করিনি।


—সেটা করার জন্য আগে একটা জলাশয় খুঁটিয়ে দেখতে হবে।

এবার সুবোধ ১৫৭০ পা হেঁটে শান-পুকুর ঘোরার কথা বলল।

স্যার বললেন- তোমার এক-পা মানে কতটা?

-"আমার দশ-পা মানে তিন মিটার। আগেই দেখে নিয়েছি।

ঘাটটা কোন দিকে দেখেছ? পুকুরের আকৃতিটা?

ঘাটটা পূর্বদিকে। পুকুরটা দেখতে গোল মতন।

-তাহলে যা যা আছে তার চিহ্ন ঠিক করো। আঁকো আর বলে বলে

দাও। সবাই শুনুক। এর পর সবাই একটা করে জলাশয় ভালো করে দেখবে। আর তার মানচিত্র আঁকবে।

সুবোধ দিকচিহ্ন দিয়ে আঁকা শুরু করল। কোনটা কীসের চিহ্ন তা বলে বলে আঁকতে লাগল। একটু পরে শান-পুকুরের মানচিত্র আঁকা হয়ে গেল।





মাটির নীচের জল

পরদিনের ক্লাস। জবা বলল- আমাদের গাঁয়ে আরও বড়ো পুকুর আছে। —সেই পুকুরেও কী জল ঢোকার অনেক নালা আছে? -সেটার পাড় বেশি উঁচু নয়। বর্ষায় চারদিক থেকেই জল আসে। – তাহলে ওটা পানীয় জলের পুকুর ছিল না। সুবোধ যে পুকুর দেখিয়েছিল তার পাড় উঁচু। পানীয় জলের জন্যই কাটা। পরে টিউবওয়েল চালু হয়েছে।

বীরু বলল— আগে টিউবওয়েল ছিল না?

- না, তখন কিছু পুকুর আলাদা করা থাকত। কেউ সেখানে স্নান করত না, নোংরা ফেলত না। এখনও দু-একটা এমন জায়গা আছে। সেখানে মাটির নীচে সহজে জল পাওয়া যায় না। অথব্য মাটির নীচের জল খুব নোনতা।

রতন বলল— জানি, সুন্দরবনে। সাগরের কাছে তো। মাটির নীচে সাগরের জল টুইয়ে আসে। তাই জল নোনতা। খালেদা বলল- এখানে মাটির নীচের জল কীভাবে এসেছে? -হয়তো অনেক আগে থেকেই কিছুটা জ্বল মাটির নীচে ছিল। তার সঙ্গে কিছুটা সাগরের জল চুইয়ে এসেছে। লক্ষ

লক্ষ বছর ধরে এসেছে। একটু একটু করে, বালির ভিতর দিয়ে। কোথাও ছোটো কণার বালি। প্রায় কাদার কণার মতো।

তাই নুন বেশি আসতে পারেনি।

আর বাকিটা কীভাবে এসেছে?

-বলা কঠিন। বৃষ্টির জল চুঁইয়ে থাকতে পারে।

নীচের জল তুললে বৃষ্টির জল আবার ঢুকে যাবে?

-সেটা সহজে হবে না। এসব হতে বহু বছর লাগে। অনেক নীচের স্তরে বৃষ্টির জল খুব সহজে যাবে না।

তাহলে তো টিউবওয়েলে পরে আর পানীয় জল উঠবে না।। তিতলি বলল – মিনি ডিপ টিউবওয়েল দিয়ে লোকে নিজের খুশি মতো চাষের জল তুলছে।


সাবিনা বলল খোলা কল দিয়ে তো জল পড়েই যাচ্ছে।

সুবোধ বলল অনেক লোকালয়ে সব কাজেই মাটির নীচের জল ব্যবহার হয়। আবার গ্রামে মাটির নীচের জল তুলে ধান চাষ হয়। এভাবে মাটির নীচের জলের স্তর নেমে যাচ্ছে। তার ফলে পানীয় জল দূষিত হচ্ছে।


জল নষ্ট আর জলকষ্ট


সাবিনা ফেরার পথে আবার সেই দৃশ্য দেখল। একটা জলের কল খোলা রয়েছে। কেউ জল নিতে আসেনি। সাবিনা কলটা বন্ধ করে দিয়ে এল। তারপর হাঁটতে হাঁটতে পাড়ায় ঢুকল। হঠাৎ ওর নজরে পড়ল একটা খোলা পাইপ দিয়ে জল পড়েই যাচ্ছে। ভালো করে দেখল। দেখে বুঝল, যে ট্যাঙ্কে এসে জল জমে, এটা সেই ট্যাঙ্ক।

পরদিন স্কুলে ও এসে এসব কথা বলল। শুনে কেয়া বলল, —– আমাদের পাড়ায়ও জল নষ্ট হয়। সজলধারার জল এসেছে গত বছর। পাড়ায় ঢোকার মুখে একটা কল। দশদিনের মধ্যে কেউ ভেঙে ফেলেছে। এখন জল আসলে একটানা জল-পড়ে। সকালে আমরা লম্বা লাইন। দিয়ে জল ভরি। দুপুরে দু-একজন করে আসে। ভাল নেয়। স্নান করে। বাকি জলটা পড়ে নষ্ট হয়। অনন্ত বলল—এক-দুই বালতি করে জল নিলে হয়। সারাদিন চলে?

- আমরা ওই জলটা খাই। অন্য সব কাজ পুকুরের জলে হয়।

- রান্না? চাল ধোয়া, আনাজপাতি ধোয়া?

-পুকুরের জলেই ওসব হয়। তবে সম্ভব হলে সেগুলো আবার কলের জলে ধোয়া ভালো। জবা বলল- কেন? অত জল নষ্ট হয়। সেটা নিতে পারিস। কেয়া বলল– অত দূর থেকে বেশি জল আনা মুশকিল। স্যার শুনছিলেন। এবার বললেন— বান্নায় জল অনেকক্ষণ ফোটে। তবুও রান্নাটা পুকুরের জলে না করাই ভালো। "অনন্ত বলল- শশা কেটে খাবি। ওটা তো আর জলে “ফোটাবি না। চিড়ে ভিজিয়ে যাবি। সেটাও জলে ফুটবে না। এসব কাজে একদম পুকুরের জল ব্যবহার করিস না।




 Class V ENVS  Sample Questions Pattern 

class 5 amader paribesh question answer  model activity task class 5  , model activity task class 5 sasto sarir sikha , model activity task class 5 poribesh , model activity task class 5 amader paribesh , মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 5 পরিবেশ উত্তর ,class 5 model activity task poribeshমডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক class 5 পরিবেশ উত্তর




---------------------------- Set 11 --------------------------

১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।        ×=

 () ত্বকে রোদ লাগলে তৈরি হয় ভিটামিন - (A/C/D)

 () কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত হাড়ের নাম-(ফিমার/ আলনা/টিবিয়া)

 () যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি হল – (ORS / BCG/DOT)

 

২। শূন্যস্থান পূরণ করো      ×=

 () গন্ডারের _____________ হল জমাটবাঁধা চুল।

 () হাড়ের জোড়কে বলে ________________।

 () _______________ মাটিতে বালি কাদার পরিমাণ প্রায় সমান থাকে।

 

৩। পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি)   x =

 () আমাদের শরীরে বর্ম কোন্টি?

 উত্তরঃ- ………………………………………………………………………………………………………………।

 () লেন্সকে বাংলায় কী বলে?

 উত্তরঃ- …………………………………………………………………………………………………………………।

 () মাটির একটি ক্ষতিকর উপাদানের নাম লেখো।

 উত্তরঃ- …………………………………………………………………………………………………………………।

  

৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো একটি)  x =

 () যক্ষ্মারোগের লক্ষণগুলি কী কী?

 উত্তরঃ-   …………………………………………………………………………………………………………………।

 () ভূমিক্ষয় কমানোর উপায়গুলি লেখো।

 উত্তরঃ- …………………………………………………………………………………………………………………।




 

Sample Questions Download in PDF Format 

Content

Description

File Name

Class V Sample Questions Paper

Subject

ENVS ( পরিবেশবিদ্যা )

File Format

PDF

File view 

view

 

আরও দেখুন 👇👇

Set 1 & 2 

set 3&4 

set 5&6&7 

set 8 &9 & 10








একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
megagrid/recent