নদী শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর লেখা বাংলা কবিতা।। Primary Education।। Class-3।। বিষয়-বাংলা
শ্রেণি- তৃতীয়
বিষয়-বাংলা
অধ্যায়- ৯
নদী
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
কবি পরিচিতি: বাংলা সাহিত্যের নামকরা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব গ্রামে। ছোটোবেলায় বাবা মারা যাওয়ায় চরম দারিডোর মধ্যে তাঁর দিন কেটেছে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হাতা হে প্রেম, মালদা। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যতা হল ধর্মে আছি, জিরাফেও আছি, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, সোনার মাছি খুন করেছি, যেতে পারি কিন্তু কেন যান ইত্যাদি। একটি বিখ্যাত কবিতা ছল অবনী বাড়ি আছো যেতে পারি কিন্তু কেন যান কাব্যগ্রশ্নের অন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ছাড়া তিনি আনন্দ পুরস্কারও লাভ করেন। শেষজীবনে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে রাত ছিলেন। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ এই কবির মৃত্যু হয়।
সারমর্ম: এই কবিতায় কবি নদীর চলার সঙ্গে নিজের জীবনের লোর তুলনা করেছেন। নদী কখনও একইরকমভাবে সারাটা পথ সোজাভাবে চলে না। তার গতিপথ বেশ আঁকাবাঁকা। কবি বলেছেন যে নদী যদি সোজা পথে চলত বলে তিনিও নদীর সঙ্গে সারাজীবন সোজাভাবে পথ নিতে পারতেন। কারণ পথের মানুষ কবিকে সোজা পথে চলার পরামর্শ দেয়। তাদের মতে সোজা ও সহজ পথই জীবনের সেরা পথ। তার থেকে বিচ্যুত হওয়া ভালো নয়।
শ্রেণি- তৃতীয়
বিষয় -বাংলা
অধ্যায় অনুযায়ী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা
শব্দার্থ:
• নদী: নিয়ম খাতে প্রবাহিত জলধারা সঙ্গে সাথে
• জীবনভর সারাজীবন
বিপরীত শব্দ:
• সোজা: বাকা
• যেতিস আসতিস যেতুম আসতুম
• সহজ: জটিল কঠিন ভালো খারাপ মন্দ মানা সম্মতি
বাক্য রচনা:
• নদী: আমাদের বাড়ির পিছন দিয়ে বয়ে চলেছে কেলেঘাই নদী।
সোজাঃ সোজা কথা সোজাভাবে বলাই ভালো।
সঙ্গে: সঙ্গে কেউ না এলেও দেবব্রত একটি কাজটা শেষ করলেন।
জীবনভরঃ আমার ঠাকুরদা জীবনতর সত্যের জন্য লড়াই করেছেন।
বেঁকেঃ গাছ আলোর দিকে বেঁকে যায় একথা সত্যি।
সহজঃ পরীক্ষার প্রশ্ন করারে এ সংত হয়েছে।
মানা: মায়ের নানা অমান্য করে কী ভুল করেছিলাম, তা আমি এখন বেশ ভালো বুঝতে পারছি।
অধ্যায় অনুযায়ী প্রশ্ন উত্তর আলোচনা